Banner

নিম্ন আয়ের মানুষ কেন বোতলের তেল কিনতে বাধ্য হবে


 




কয়েক মাস ধরে আমরা দেখি, তেল কোম্পানিগুলো দোষ দেয় ডিলার বা পাইকারি ব্যবসায়ীদের, আবার তারা দোষ দেয় কোম্পানিগুলোকে। এখন পাইকারি ব্যবসায়ী বা ডিলারদের গুদাম থেকে লাখ লাখ বোতল উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলো নিশ্চয়ই তাঁরা বাজার থেকে ঘুরে ঘুরে কিনে মজুত করেননি। দাম বাড়ার এক–দুই মাস আগে থেকে একসঙ্গে এতসংখ্যক তেলের বোতল তাঁদের হাতে গেল কী করে, সেই প্রশ্নও থেকে যায়। অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী অসহায়ত্বের সঙ্গে বলে দিলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে ভুল করেছি।’ মানুষ যে তাদের ওপরে বিশ্বাস রেখে কত ভুল করেছে, সেটি যদিও মন্ত্রী মহোদয়দের কিছু যায়–আসে না।

তেল নিয়ে তেলেসমাতির জন্য যাঁরাই দায়ী হোক না কেন, চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের দিনমজুর বিবি কুলসুম নিজের কপালকেই দায়ী করেন। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেখি, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দুই-চার ছটাক করে তেল কিনে কোনোমতে দিন চালাতে হয় তাঁদের। এমন অনেক কুলসুমই ভিড় করেন ঢাকার বিজয় সরণি থেকে তেজগাঁওয়ের দিকে যেতে উড়ালসড়কের নিচে ‘গরিবের বাজারে’। সেখানে সর্বনিম্ন দশ টাকায় ছোট এক পুঁটলি সয়াবিন তেল কিনতে পাওয়া যেত। ক্রমাগতভাবে দাম বাড়তে থাকায় গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সেখানে এখন আর ১০ টাকার সেই তেলের পুঁটলি পাওয়া যায় না। সেটির দামও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে নির্ঘাত। এরপরও এমন পুঁটলি-তেলই তাঁদের কিনতে হয়। কারণ, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলোর কাছে খোলা তেলই হচ্ছে বড় ভরসা। এক বা দুই ওয়াক্তে যতটুকু তেল লাগে, সেটুকুই তাঁরা কিনতে পারেন। এখন খোলা তেলও গায়েব হয়ে গেলে বোতল কেটেই অনেক দোকানে তেল বিক্রি হতে দেখি আমরা। খোলা তেলের দাম তুলনামূলকভাবে কম, এখন বোতল কেটে বেশি মূল্যেই অল্প কয়েক ছটাক করে বিক্রি করায় অনেককে কিন্তু জরিমানাও করা হচ্ছে। এরপরও কি এভাবে খোলা তেল বিক্রি থামানো সম্ভব?





Post a Comment

0 Comments