Banner

হিরো আলম হারেনি, হারানো হয়েছে??

ভোট আসলে একটা বিনিয়োগ। কাকে ভোট দিলে কী পাব, কাকে ভোট দিলে কী পাব—এই বিচার করে ভোট দেওয়াই ভোটারের স্বভাবধর্ম। এ কথা হিরো আলম জানতেন এবং তাঁকে ভোট দিলে ভোটারের ভাগ্যে কী মিলবে, সে প্রশ্নের কোনো জোরালো উত্তর যে তাঁর কাছে নেই, তা-ও তিনি জানতেন। এ কারণে উপনির্বাচনে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারের সময় তিনি সরল-সোজা গলায় বলেছিলেন, তিনি যদি সংসদ সদস্য হন, তাহলে সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করতে পারবেন এক বছরের কম সময়। এ সময়ে আদতে তাঁর পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হবে না। ফলে তাঁর কাছে ভোটারদের তেমন কিছু আশা করার নেই। তারপরও ভোটারদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে, তা গত কয়েক বছরে যেকোনো ভোটের সময় কোনো প্রার্থীর বেলায় দেখা গেছে বলে মনে পড়ে না। অনেকেই বলছিলেন, ভোটাররা যদি ঠিকমতো ভোট দিতে পারেন, তাহলে হিরো আলম পাস করে যাবেন।

তবে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, হিরো আলম দুটি আসনেই হেরেছেন। অস্তগামী সূর্যকে যেমন কেউ প্রণাম জানায় না, তেমনি ভোটে হেরে যাওয়া লোকের দিকে আগ্রহভরে মাইক্রোফোন এগিয়ে দেওয়া হয় না। কিন্তু হিরো আলমের ক্ষেত্রে উল্টোটা ঘটল। দেখা যাচ্ছে, হিরো আলমের যে প্রতিদ্বন্দ্বীরা জিতেছেন, তাঁদের নিয়ে সাধারণ লোকের বা সংবাদমাধ্যমের কোনো আগ্রহ নেই। অনেকে বিজয়ী প্রার্থীদের নামও জানেন না, জানার আগ্রহও তাঁদের নেই। তাঁদের সব আগ্রহ ‘হারু প্রার্থী’ হিরো আলমকে নিয়ে। প্রথম আলো তাদের প্রথম পাতায় হিরো আলমের ছবি দিয়ে শিরোনাম করেছে, ‘৮৩৪ ভোটে হার হিরো আলমের’।



Post a Comment

0 Comments